উপস্থাপনায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে

বিষয়বস্তু সম্বন্ধে ধারণা:
কোনো বিষয় সম্বন্ধে ধারণা না থাকলে উপস্থাপনা করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। যে বিষয়ে উপস্থাপনা করতে হবে সে বিষয়ের দরকারি সব তথ্যই সংগ্রহ করতে হবে।
আরোহিত জ্ঞান যদি ১০০ ভাগ হয় তাহলে তার থেকে হয়তো ২০-৩০ ভাগ উপস্থাপন করতে হবে। কম তথ্য আরোহণ করলে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে হয়তো প্রয়োজনীয় তথ্যটি সরবরাহ করা যাবে না।


বলা বা বক্তব্য উপস্থাপন
বিষয়বস্তু সম্বন্ধে ধারণা তো তৈরি হলো। এবার কাজটি হলো তা দর্শক-শ্রোতার সামনে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা।
এই কাজটি সুচারুরূপে করতে পারলে উপস্থাপনা অনেক অংশে সার্থক হবে। মনে রাখতে হবে বক্তব্য কোনোক্রমেই যেন বিষয়ের বাইরে না চলে যায়। বলা বা উপস্থাপনের জন্য কয়েকটি বিষয় আয়ত্তে আনা

জরুরি
ক. শুদ্ধ উচ্চারণ
খ. উচ্চারণে স্পষ্টতা
গ. কণ্ঠস্বরের স্তর নির্ণয়
ঘ. স্বরের ওঠানামা
ঙ. আবেগ চ. ছন্দ ছ. গতি

অঙ্গভঙ্গি
উপস্থাপনার ক্ষেত্রে অঙ্গভঙ্গি ২০-৩০ ভাগ ভূমিকা রাখে। সঠিক বক্তব্যের সঙ্গে সঠিক অঙ্গভঙ্গি উপস্থাপনার একটি অংশ।

উপস্থিত জ্ঞান
উপস্থাপনার ক্ষেত্রে উপস্থিত জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপস্থিত জ্ঞান দ্বারা উপস্থাপনার সময় ঘটে যাওয়া যে কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা সহজেই এড়ানো যায়।
ধরা যাক, কারো ওপর একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি দেখলেন অনুষ্ঠান সূচি অনুযায়ী যার পারফর্ম করার কথা তিনি আসতে দেরি করছেন।

সাধারণ জ্ঞান
সাধারণ জ্ঞান নামে সাধারণ হলেও কার্যক্ষেত্রে তা অসাধারণ। সবসময় এর প্রয়োজনীয়তা লক্ষণীয়। সাধারণ জ্ঞানের কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। সাধারণ জ্ঞান যে কোনো বিষয়ে হতে পারে। এর জন্য নিয়মিত চর্চা করে সাধারণ জ্ঞানের ভাণ্ডার বৃদ্ধি করতে হবে। রাতারাতি সাধারণ জ্ঞানের ভাণ্ডার বৃদ্ধির কোনো উপায় নেই।